জেবুন্নিসা

“শাহজাহানের অধিনে মোগল দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ সৌধগুলোর অর্ধেক নির্মিত হয়েছে মহিলাদের দ্বারা, বিশেষ করে শাহজাহানের প্রিয় কন্যা জাহানারা এককভাবে নির্মাণ করান বেশ কিছু প্রাসাদ, একটি উদ্যান, হামাম খানা এবং প্রাসাদোপম সরাইখানা। চাঁদনি চকের রাস্তাটির ধারাও তারই।

অভজাত রুচির মোগল রমণীরা তাদের ইরানি ভগ্নিদের চাইতে অধিকতর। জেবুন্নিসরা পান্ডত্য ছিল আরও বেশি। ‘মা’সির-ই আলমগিরি অর্থাৎ আওরঙ্গজেরবের শাসনকালের ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেবুন্নিসা কোরআন মুখস্ত করেছিলেন এবং আরবি ও ফারসি ভাসায় তার দখল ছিল। তাছাড়া বিভন্ন ধাঁচের ক্যালিগ্রাফি তার আয়ত্তে ছিল। তার হৃদয় পড়ে থাকত গ্রন্থ সংগ্রহ, পাঠ ও লিখে রাখতে। তিনি তার সংগৃহীত গ্রন্থের একটি লাইব্রেরি গড়ে তুলেছিলেন যা কোন পুরুষ দেখেনি। বহু ধর্মতত্ত্ববিদ, বিদ্বান ধার্মিক লোক, কবি ও ক্যালিগ্রাফার তার কাছে আসতেন তার সঙ্গে আলোচনা করতে।”

-হোয়াইট মোগলস

জেমস অ্যাচিলেস কার্কপ্যাট্টিকের মৃত্যুর পঁচাত্তুর বছর পর এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জীবদ্দশায় টরকোয়ে-হায়দারাবাদি, ইসলামী-খ্রিস্টান কন্যার অস্তিত্বের কারণেই হয়তো রুডইয়ার্ড কিপলিং- এর পক্ষে লেখা সম্ভব হয়েছিল যে, ‘ইস্ট ইজ ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট ই ওয়েস্ট এন্ড নেভার দি টোয়াইন শ্যাল মিট’।জেমস অ্যাচিলেস কার্কপ্যাট্টিকের মৃত্যুর পঁচাত্তুর বছর পর এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জীবদ্দশায় টরকোয়ে-হায়দারাবাদি, ইসলামী-খ্রিস্টান কন্যার অস্তিত্বের কারণেই হয়তো রুডইয়ার্ড কিপলিং- এর পক্ষে লেখা সম্ভব হয়েছিল যে, ‘ইস্ট ইজ ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট ই ওয়েস্ট এন্ড নেভার দি টোয়াইন শ্যাল মিট’।

-হোয়াইট মোগলস

দীন মোহাম্মদ

“১৮০৭ সালে দীন মোহাম্মদ লন্ডনে চলে আসেন এবং ব্রিটেনে ভারতীয় মালিকাধীন প্র্রথম রেস্টুরেন্ট চালু করেন ‘দীন মোহাম্মদ’স হিন্দুস্থানী কফি হাউস’ নামে। ‘ এখানে ভদ্রলোকেরা এসে হুক্কায় খাঁটি তামাকে ধুমপান করতে পারত এবঙ খেতে পারত সুস্বাদু রকমারি ভারতীয় খাবার। ইংল্যান্ডের যে কোন খাবারের চাইতে আকর্ষণীয় ছিল এগুলো’।

শেষ পর্যন্ত তিনি চলে যান ব্রাইটনে এবং ব্রিটেনের প্রথম ওরিয়েন্টাল ম্যাসাজ পার্লার চালু করেন। এক পর্যায়ে তিনি রাজা চতুর্থ জর্জ ও চতুর্থ উইলিয়ামের ‘শ্যাম্পুইং সার্জন’ হন। দীন মোহাম্মদের জীবনী লেখক মাইকেল ফিশার যথার্থই লিখেছেন, ‘ মোহাম্মদের বিয়ে এবং পেশাদার চিকিতসক হিসেব সাফল্য পরবর্তীকালের ইংরেজ জাতিগত বৈশিষ্ট্য ও দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে সহজ দৃষ্টান্ত।'”

-হোয়াইট মোগলস

গভর্নর এডওয়ার্ড লর্ড ক্লাইভ

“ওয়েলসলি মাদ্রাজের নতুন গভর্নর এডওয়ার্ড লর্ড ক্লাইভকে তেমন পছন্দ করতেন না। তিনি বিখ্যাত রবার্ট ক্লাইভের পুত্র, চুয়াল্লিশ বছর আগে পলাশীতে যার বিষ্ময়কর বিজয়ের কারণেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রুপান্তর শুরু হয়েছিল ব্যবস্থায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনিতে এবং তাদের নিজ জন্মভূমির চাইতে বৃহত্তর এক ভুখন্ডের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে অন্যতম প্রধান সবম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হওয়ার। প্রথম সাক্ষাতের পর ওয়েলসলি লিখলেন, ‘ক্লাইভ কাজের লোক, ইর্ষাপরবয়ণ, অনুগত এবং ভদ্রলোকের মতো তার মেজাজ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর মতো মেধা, জ্ঞান, ব্যবসায়ী প্রবণতব অথবা দৃঢ়তা তার নেই। কি করে সে এখানে এল? “

-হোয়াইট মোগলস

For a long time later

I have nothing to write but want to write, which is hidden in my untold concerns or whatever. I just need to start, but how do I start? I think I have forgotten how to write.

And another thing is that when I read my old writing, I feel why I wrote it. Just garbage; there is nothing to read again, but the things I thought I could get flavor from.

5.10.14.11.04

প্রচলতি আছে ,হাতি নাকি তার বড় কানের জন্য প্রকান্ড শরীরটা দেখতে পারেন না। তাই তার ক্ষমতা সম্পর্কে ধারানা-ই করতে পারছে না।
মানুষের বেলাতেও হয়তো কথাটা সত্য? মানুষও নিজের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারেনা। এতে ভাল এবং মন্দ দুটাই ঘটছে।
মানুষ সামনের দিকে তাকিয়ে থাকতে যতটা পছন্দ করে নিজের দিকে ততটা না। তাই অন্যের আচরন,পোষাক,কথা,হাঁটা সব কিছুই তার কাছে হাস্যকর ঠেকে। সব কিছুই নিজের সাথে তুলনা করে যাচাই করে।ধরে নেয় কেবল সে নিজেই সবচেয়ে পারফেক্ট। এটা হচ্ছে তার খারাপ দিক।
ভাল দিক হচ্ছে যদি মানুষ নিজের দিকে গভীর মনসংযোগ করতে পারতো,তবে নিজের দৈন্যতা দেখে এত বেশি বিমর্ষ হয়ে যেত যে স্বাভাবিক কাজ করায় বিঘ্ন ঘটতো।
অনেক গাড়ির পিছনে লেখা থাকে গাড়ির পিছনে লেখা থাকে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।অর্থাৎ এই গাড়িটা অন্য গাড়িকে ট্রাফিক আইন মেন চলার কথা বলছে,কিন্তু সে নিজের জন্য তা করছে না। তার মানে সে ভাবছে সে সব সময়ই ট্রাফিক আইন মেনে চলছে,যেটুকু আইন সে মানতে পারছে না সেটা আইনের সমস্যা তার নিজের না।

ইসলামী জঙ্গীপনা এবং নিজস্ব মতামত

অভিজিৎ রায় এবং পারভেজ আলম,এই দুইজনের প্রায় সব লেখাই পড়েছি এবং পড়ি,পারত পক্ষে কখনোই মিস করিনা।
অভিজিৎ দা যখন জঙ্গী উন্মাদনাকে ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ হিসেবে দেখে ধর্মকেই এর জন্য দোষি সাব্যস্ত করেন তখন মেনে নিতে পারি না। আবার পারভেজ আলম যখন জঙ্গীদের ‘সালাফি ইসলাম’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় তখনও মেনে নিতে পারিনা। সেই ভিত্তিতে আমার নিজস্ব একটা মত আছে। আর প্রকাশ না করতে পারলে মতামতের দুর্বলতাও তো ধরা পড়বে না।

মানুষ নানা লক্ষ্যে একত্র হতে পারে। প্রাথমিক দিকে রাষ্ট্র গুলো ধর্মের নাম না হয় রাজার নামে সৈনিকরা যুদ্ধ করতো। গ্রীকরা প্রথম জাতীয়তা বোঝ নিয়ে দেশের জন্য লড়াইয়ে নামে। আমরা একাত্তুরে বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধ থেকে একত্র হয়ে পাকিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি।
জেরুজালের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস দেখলে আরব জাতীর উপর এক ধরনের ধারান জন্মে। হত্যা,খুন,লুটতরাজ এসব আরব জাতীর খুব সাধারন কালচার। এবং আরবের এই কালচার ধর্ম ভিত্তিক না,জাতী ভিত্তিক বলেই মনে হয়। ঐ অঞ্চলের প্রায় সব ধর্মের মানুষই কিন্তু বর্বরাতায় সমান।গাজার উপর ইজরাইলের আক্রমন,তাদের শিশুদের হত্যা সহ নানা অপকর্ম তো আছেই।(এখানে শুদ্ধ জাতি বলে কিছু বোঝাতে চাইছি না। এথেনিয়,রোমানরা যতই আক্রমন করোক,তাদের সাথে মিশে যাক কিন্তু আদতে আরবরা একত্রই ছিল।) অন্তত সমস্ত আরবের একটা কালচার আছে।

সভ্যতা কখনো সার্বজনীন হয়না। প্রতিটা জাতী,সময়,ভৌগলিক অবস্থানের জন্য আলাদা আলাদা হয়।গ্রীক সভ্যতার স্বর্ণযুগে পেরিক্লিসের শাসন আমল মানুষের সাঙস্কৃতিক মান অনেক উন্নত ছিল। ধারনা করা হয় শিল্প,সাহিত্য,সংস্কৃতির দিক দিয়ে পেরেক্লিসের আমল এতটাই উন্নত ছিল যা এই সময়ও অার আর্জন করা যায় নাই। কিন্তু সেই সময়টা ছিল দাশ প্রথার যুগ। দাস প্রথা সেই সময়ে অন্যায়,নিষ্ঠুর হিসেব ধরা হতো না।

প্রতিটা জাতীর সভ্যতার মাপকাঠি আপেক্ষিক। ইসলাম আসার আগে আরবরা কি সভ্য ছিল? ইতিহাস তা বলে না। সমস্ত পৃথিবী যেভাবে এগিয়ে গেছে আরবরা সেভাবে পারে নাই। জাতী হিসেবে তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান,শিল্প-সাহিত্যে অনেক পিছিয়ে আছে। জাতী হিসেবে তাদের পরিবর্তন কয়েক হাজার বছর আগে যা ছিল এখনো তার কাছাকাছিই আছে। শিরচ্ছেদ বিষয়টা আমাদের কাছে খুব বর্বর মনে হলেও আরবের মানুষের কাছে এটা সাধারণ ঘটনা,কারন তারা এটাতেই অভ্যস্ত। তাদের আবহাওয়া,জলবায়ু,মরুভুমি ইত্যাদি বিবেচনায় আনলে খুব সহজেই বুঝা যায় আমাদের সবুজ দেশের মানুষের মতো আবেগপ্রবন তারা নয়,আবার ইউরোপের মতো ঠান্ডামেজাজের গম্ভিরও না। তারা তাদের মতো ঐতিহাসিক ভাবে রুক্ষ। গোষ্টি প্রধান সমাজ ব্যবস্থা এখনো টিকিয়ে রেখেছে।

আমি কতটা সভ্য এটা যাচাই করা হবে নিশ্চয় আমার দেশের প্রেক্ষাপট অনুসারে। ইউরোপের একজন লোকের সাথে নিশ্চয় তুলনা হবে না। আমার দেশে যেখানে সেখানে চিপসের প্যাকেট ফেলতে পারি,থুথু ফেলতে পারি। কেবল এমন কয়েকটা বিষয় ইউরোপে হয়তো অসভ্যতা,কিন্তু আমরা অহরহ করি বলে এসব তেমন ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখি না। আরবদেরও দেখতে হবে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে। ইউরোপের সাথে তুলনা করে নয়।

ভারতবর্ষ যখন সমৃদ্ধ ছিল ইউরোপের মানুষের কাছে তা ছিল লোভনীয়। কলম্বাস কেন ইন্ডিয়া আবিশ্বাকারের অভিযান চালিয়েছিল? ইংরেজরা এত পথ পাড়ি দিয়ে কেন ভারতবর্ষে এসেছিল? এই ভারতবর্ষ দখলে রাখার জন্য কত রকম নিকৃষ্টি পদ্ধতির আশ্রয় তারা নিয়েছে,জাতীতে ভাগ করে, ধর্মীয় দাঙ্গা উস্কে দিয়েছে। জাতিভেত,ধর্ম ভেদ এই অঞ্চলে বরাবরই ছিল কিন্তু বহুকাল যাবত তো মানুষ শান্তিতেই বসবাস করে আসছিল হঠাৎ কেন দুই দলে ভাগ তিন টুকরা হয়ে গেল? তখনই চলে আসে অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয় ভারতবর্ষ ভাগ না হলে মুসলমানরা থাকতো পিছনে পড়ে, মুসলমান ব্যবসায়ী,ধনিক শ্রেনি হিন্দুদের সাথে প্রতিযোগীতায় পারছিলনা। তাই দেশ ভাগ করে নেয়াটা ছিল তাদের জন্য লাভজনক। আর সেই ধনিক শ্রেনির রাষ্ট্র ব্যবস্থা তা করতে দিয়েছে। হিন্দু মুসলমান ভাগ হয়ে যতটা ধর্মীয় লাভবান হয়েছে তার চেয়ে হয়েছে বেশি অর্থনৈতিক। তার মানে ধর্মের নামে বিবাজনের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক।

পাকিস্তানি ইস্পাহানির প্রধান চেয়েছিলেন শেখমুজিবকে ক্ষমতা দিয়ে পূর্বপাকিস্তানকে স্বায়িত্বশাসন দিয়ে দেয়া। কারন সে ব্যবসায়ী,রাজনৈতিক ঝামেলার কারনে তার ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিল। আর দুই ভাগ হয়ে গেলে তার ব্যবসার বাজার কমে যাবে।অতএব ইসপাহানির সমর্থন আর বঙ্গবন্ধুর সমর্থন এক হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্নই ছিল।

আরব তেল সমৃদ্ধ দেশ হওয়ায়,সারা বিশ্বের কাছে একটা লোভনীয় স্থান। তাদের তেল লুট করার জন্য বিশ্বমোড়লরা মুখিয়ে আছে। ইরাক আক্রমন করা হয়েছে কোন যুক্তিতে? কিন্তু দেখা গেল খামখেয়ালীর মতো একটা যুক্তি দিয়ে একটা রাষ্ট্রকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে? আইএস বিষয়টাও আমার কাছে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বলেই মনে হয়। ১৯৭৩ সালে কিউবার সাথে পাট রপ্তানির খেসারত দিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে দুর্ভিক্ষ দিয়ে। আম্রিকার নির্দেশ ছাড়া কিউবাতে একটি পাখিও যেতে পারে না। আরবের রাষ্ট্র গুলো আইএস এর বিরোধিতা করলেও তারা কি করে এই অস্ত্র,অর্থের যোগান পায়? কে দেয় তাদের অস্ত্র? এখনো পর্ন্ত সিআইএ কি এই তথ্য বের করতে পারে না?

আম্রিকা যেই সব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে,সেখানেই জন্ম নিয়েছে একটি জঙ্গী সংগঠন। সিরিয়া,ইরাক তো আইএস,তুরস্ক,মিশর,লিবিয়া সব খানে স্যাকুলার থেকে আরো জঙ্গিপনার দিকেই ঝুকছে। কিন্তু কেন? আম্রিকা যদি মুক্ত করতেই যায় সেখানে স্যাকুলারিটির পতন ঘটে আর জঙ্গী উত্থান ঘটে কি করে?

আমার মতামত,সরা বিশ্বে ইসলামী জঙ্গীদের যে উন্মাদনা রয়েছে তার পেছনে হাত রয়েছে আম্রিকার। এবং আম্রিকার উদ্দেশ্য সফল করতে তারা ধর্মীয় জঙ্গীদের আশ্রয় নিয়েছে। ৭১ সালে স্যাকুলার বাংলাদেশের দিকে নয় ধর্মীয় পাকিদের পক্ষেই তারা সমর্থন দিয়েছিল।

তবে কথা থাকে অন্য অঞ্চলে জঙ্গীরা কেন সক্রিয়! সোভিয়েত ইউনিয়নে যখন সমাজতন্ত্রের ভিত্তি হয়,তখন অন্যান্য অঞ্চলেও তার প্রভাব পড়ে,অনেক ছোটখাট সমাজতান্ত্রিক মোভমেন্ট সারা বিশ্বেই দেখা যায়। সোভিয়েত পতনের পর আবার মিলিয়ে যায়। ইসলামী জঙ্গীদের বেলাতেও এটা এমন হতে পারে।

এডয়ার্ড সাইদ দেখিয়েছেন যে বিশ্বের যত সোসাই বোম্বিং হয়েছে তার বেশির ভাগই হয়েছে জাতীয়তাবাদী আদর্শ কেন্দ্র করে। ধর্মীয় আদর্শ কেন্দ্র করে হয়েছে সেই তুলনায় কম। যে কোন আদর্শ কেন্দ্র করেই চরমপন্থায় পোঁছানো যায় তখন এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক,জাপানি বোমারো বিমান এমন ভাবেই আক্রমন করেছিল, বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযুদ্ধাদের এমন সাহসি কথাও আছে। শ্রিলংকার তামিল গেরিলারা অনেক সোসাইড বোম্বিং করেছে। প্রতিটা সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন যুদ্ধে যায় তখন মৃত্যু হতে পারে জেনেই যায়। এটাও এক ধরনের সোসাইড। কিন্তু কেন যায়,সেনাবাহিনির সদস্যরা কি পরকালের লোভে যায়? যে কোন বাহিনীর সদস্যদের এমন ভাবে উদ্বোধ্য করা হয় যখন মৃত্যুর তার কাছে কোন ব্যপারই মনে হয়না। আমি বলতে চাইছি ধর্মকে ব্যবহার না করেও এমন করা সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে,তার জাতীয়তা,দেশ প্রেম ইত্যাদি। আর ইসলামী জঙ্গীরা তাদের উজ্জেবিত করার জন্য ব্যবহার করছে কোরান,পরকাল ইত্যাদি।এই উজ্জেবিত করাটা যদি ভাইরাস আক্রান্ত হয় তাহলে পৃথিবীর সব সেনাবাহীনি ভাইরাস আক্রান্ত। আর এই সেনাবাহীনির পৃষ্ঠপোষক দেশ ও ভাইরাস আক্রান্ত? আমার তা মনে হয়না।

আর শুদ্ধ ইসলাম বলতে কোন চিজ নাই। যদি সালাফি ইসলামকে জঙ্গিপনার জন্য দায়ি করা হলে। শিয়া,সুন্নি,কাদিয়ানী,ওয়াহাবি ইত্যাদি নিজেদের মধ্য তো প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেই যাচ্ছে। তার যুক্তি কি থাকবে? সালাফিরা জঙ্গিপনা করছে কিন্তু অন্য দু একজন হয়তো মিউমিউ করছে এটা সত্য। কিন্তু এটাও সত্য যে খ্রিষ্টানদের আক্রমন করলে,হত্যা করলে অধিকাংশ মুসলিমরাই মনে মনে খুশি হয়? আম্রিকায় কুরান পুড়ালে,অথবা মোহাম্মদকে নিয়ে সিনেমা বানালে যেভাবে সারা বিশ্বে মুসলিমরা আন্দোলন করে। কিন্তু আইএস এর কার্যক্রম যদি ইসলাম বিরোধি হতো তবে তো একই রকম আন্দোলন দেখতে পেতাম। আমরা কিন্তু এমন কিছু দেখি নাই।
http://istishon.com/node/9659

বাংলা দশ ফানি গান

১। ডেগের ভিতরে চাইলে ডাইলে উতরাইলিগো সই..
সেই উতরানি মোরে উতরাইলি,শ্যাম বিরহ আমার আন্তরে
২।নাতি খাতি বেলা গেল ,শুতি পারলাম না,আরে ছদরুদ্দির মা
নাতি খাতি বেলা গেল শুতি পাইলাম না।
৩।এক গিরস্তের ঘরে ছিল এক হাস,সেই ঘরে অভাব যে ছিল বার মাস
একদিন সে হাসিটা পারলযে ডিম একটা,সেই নিয়ে গৃহস্তের মহা উল্লাস।
৪।আমার বাড়ি ছাগল নাইয়া রয়েল ডিস্টিক হেনি,
আন্নের বাড়ি দাগন ভুইয়া আন্নেরে আঁই চিনি,ভাইছাব ভালা আছেন নি।
৫।ওহ আমার হাসের ছাও রে…
৬।জয় জগা নন্দ,ঘটি বাটি বন্ধ,পয়সা নাই তাতে হৈসে কি?
তেলাকচু পাতা,টাকি মাছের মাথা,মসল্লা নাই তাতে হৈসে কি?
৭।তুমি টাঙ্গাইলের চমচম,বগুড়ার দই,নাটুরের কাঁচাকলা যশোরের কৈ
তুমি খুলনার নারিকেল,পাবনার ঘি,সিলেটের কমলা পান সুপারি।
৮।ইতা কিতা করে রে বাই, ই..তা কি…তা করে?
আরে পুরুষ হইয়া নারির পায়ে ধ..রে….
৯।বাঘ শিকার যাইমু,বাঘ শিকার যাইমু
বন্দুক লইয়া রেডি হইলাম আমি আর মামু।
১০। আরে মাইড্ডা কলসি,তোরে লই যাইয়ুম পানির লাই।

08.07.14

পশ্চিম জার্মানির রাজধানি নিয়ে আসা হয়েছে বন এ। বন শহরটা তখন খুব বড় ছিলনা এর জনসংখ্যা ১ লক্ষ দেখানোর জন্য দূরের কয়েকটি গ্রামকে অন্তভুক্ত করা হলো। সৈয়দ মুজতবা আলি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে আলাপ কালে বন,বর্তামান রাজধানি তার মতামত জানতে চাইল।
তিনি যুক্তি দিলেন, ঠিকই তো আছে, এখানে ফুল প্রচুর পরিমানে ফোটে, তরুনিরা সহৃদয়বান এবং ওয়াইন সস্তা।

টাকা হলে নিজের রুমে একটি মিনিবার বানাবো। আরো টাকা হলে সত্যজিৎ রায় এর “হিরক রাজার দেশে” এর মতো একটি সিনেমা বানাতে লেগে যাব। তার পরেও হাতে সময় থাকলে বিনয়কৃষ্ণ মজুমদার(যাযাবর) এর “দৃষ্টিপাত”এর মতো ছোট একটি বই লিখবো। যদি আরো কিছু সময় হাতে থাকে তাহলে সুকুমার রায়ের ছাড়া গুলো পড়তে পড়তে পড়তে………….।

ক্লাইভ বেল

হুমায়ুন আহমদের একটি আড্ডা ছিল ওল্ড ফুল ক্লাব। আমারও এমন একটা ক্লাব করার খুব ইচ্ছা আছে।
১৯০৬ সালে ব্রিটেনে এমন একটি ক্লাব ছিল তার নাম ব্লু মসবেরি গোষ্ঠি (Bloomsbury Group)।সেই আড্ডায় বার্ট্রান্ড রাসেল,ইএম ফস্টার,ডি.এইচ লরেন্স এই রকম বিখ্যাত মানুষেরা মিলিত হতেন। এদের এক সদস্য তার নাম ক্লাইভ বেল। তিনি বিয়ে করেন ভার্জিনিয়া উলফের বোন ভানেসা কে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে ক্লাইভ বেল একটি বই লিখেন নাম দেন Civilization,এই বইটি উৎসর্গ করেন ভার্জিনিয়া উলফকে।
ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম” এই লাইন টা মোতাহের হেসানের চৌধুরির “সাংস্কৃতি কথা” প্রবন্ধের। আামার ধারনা এই প্রবন্ধের বইটি তিনি এই সিভিলাইজেশান(সভ্যতা) বইটা থেকেই অনুপ্রানিত হয়েছিলেন।
সভ্যতা নামে ক্লাইভের বইটাও তিনি আবার বাংলায় প্রকাশ করেন। একে ঠিক অনুবাদ বলা যাবে না বলতে হবে অনুসরনে লিখেন,সহজ ভাষায় সভ্যতা বইটা প্রথম লেখেনে ক্লাইভ বেল এবং দ্বিতীয়বার লেখেন মোতাহের হোসেন চৌধুরী।
এই সভ্যতা বইটার ব্যপারে লেখার সক্ষমতা আমার নাই,তবু দুঃসাহস নিয়ে শুরু করবো ভাবছি। সে যাই হোক। আমার মানুষ এই সময়ে এসেও কতটা সভ্য,কতটা সুসভ্য,কতটা মানবিক এই বিষয় গুলো বুঝতে সহায়তা করতে পারে।আমরা নিজেকে নিয়ে যে গর্ব করি তার ভিত্তি কত নড়বড়ে বইটি পড়ার পরে হতাশই হয়েছি।
ছোট একটা বই,মাত্র ৭৫ পৃষ্ঠার,প্রকাশক:বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।